শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : দীর্ঘ ২০ বছর ধরে শায়েস্তাগঞ্জ থানার কার্যক্রম চলে আসছিল ভাড়া করা ভবনে। দীর্ঘদিন পর হলেও বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসায় নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে ২০১৭ সালে শায়েস্তাগঞ্জের বড়চর মৌজায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে ১০০ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হয়।
অধিগ্রহণকৃত জমিতে ভবন নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে উদ্বোধন হতে পারে শায়েস্তাগঞ্জ থানার নিজস্ব ভবন।
জানা যায়, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে হবিগঞ্জের কৃতিসন্তান শাহ এএমএস কিবরিয়া টেকনোক্রেট কোটায় অর্থমন্ত্রী হন। অর্থমন্ত্রী হয়ে হবিগঞ্জের অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুরু করেন তিনি। এরই অংশ হিসেবে ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শায়েস্তাগঞ্জ থানা।
থানা প্রতিষ্ঠার পর শহরের উদয়ন আবাসিক এলাকায় প্রথমে একটি বাসাভাড়া নিয়ে থানার কার্যক্রম শুরু হয়। পরে সেখানে স্থান সংকুলান না হওয়ায় একই এলাকার আরেকটি বাসায় স্থানান্তর করা হয়। এখন পর্যন্ত ওই ভাড়া বাসাতেই চলছে থানার কার্যক্রম।
ধীরে ধীরে লোকবল বাড়তে থাকে থানায়। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৫৮ জন পুলিশ রয়েছেন থানায়। থাকা, খাওয়াসহ নানান সমস্যায় জর্জরিত এখানকার পুলিশ সদস্যরা। কিন্তু এখন সবাই আশার আলো দেখছেন নতুন ভবনের জন্য।
দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হচ্ছে আগামী মাসেই। নতুন ভবনের কাজ ইতোমধ্যেই ৯৫ ভাগ শেষ। থানা ভবনের সীমানা প্রাচীর ও আর ঘঁষা-মাজার কাজ বাকি। অন্যান্য কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।
২০১৮ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট (পিডব্লিউডি) দরপত্র আহ্ববান করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোস্তফা কামাল ৭ কোটি ২৫ লাখ টাকায় কাজটি পান। পরে দরপত্রের বাইরে কাজ করানোয় আরও প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানো হয়।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোস্তফা কামালের সাইট ম্যানাজার আবুল খায়ের জানান, আমাদের কাজ একেবারেই শেষ পর্যায়ে। অল্প কিছু কাজ বাকি আছে। আশা করছি আগামী মাসে ভবন হস্তান্তর করতে পারব।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ থানার কার্যক্রম চলে আসছে ভাড়া বাসায়। খুব কষ্টে থাকা-খাওয়া লাগে। এ বাসায় স্থান সংকুলান হয় না। নতুন ভবনের কাজ একেবারেই শেষ পর্যায়ে। হয়ত আগামী মাসেই উঠতে পারব নতুন ভবনে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর পর থানা পাচ্ছে আপন ঠিকানা। ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। নতুন ভবনে পুলিশিং কার্যক্রম আরও জোরদার করতে পারব। জনসাধারণকে আরও বেশি সেবা দিতে পারব।